ওয়েব ডেস্ক: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, বঙ্গভ্যাক্স সফল হলে টিকার সংকটকালে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি সম্ভব হবে। তাই বঙ্গভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দেয়া জরুরি। কিন্তু অজানা কারণে এর ট্রায়াল বন্ধ রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, বিদেশি টিকা আমদানি ও উৎপাদনে ব্যাপক উৎসাহ থাকলেও দেশীয় টিকা উৎপাদনে মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেই। আর এ কারণেই ৩ মাস পার হলেও দেশে তৈরি করোনা টিকা বঙ্গভ্যাক্স ট্রায়ালের অনুমতি পাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, গেল বছর বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক করোনা টিকা বঙ্গভ্যাক্স উৎপাদন করে। প্রাণিদেহে অ্যান্টিবডি তৈরিতে সফল হয়েছে এক ডোজের বঙ্গভ্যাক্স। ইতোমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বঙ্গভ্যাক্সকে করোনা প্রতিরোধে তালিকাভুক্ত করেছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, বঙ্গভ্যাক্সের গবেষণাপত্র যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল জার্নাল ‘ভ্যাকসিন’-এ প্রকাশিত হয়েছে। বঙ্গভ্যাক্সের কোডিং সিকোয়েন্স যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিআই ডাটাবেজে সংরক্ষিত হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বায়ো আর্কাইভে প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গভ্যাক্সের গবেষণাপত্র। আবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য টিকা উৎপাদনে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন। কিন্তু বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের তরফ থেকে অজানা কারণে অনুমোদন ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে আছে বঙ্গভ্যাক্সের ট্রায়াল।